খুনের আসামি হয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন সদ্য সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। হয়তো আরাম আর কষ্টের কথা মনে করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, তাই কাঁদলেন অঝর ধারায়। যতক্ষণ কাঠগড়ায় ছিলেন ততক্ষণই তিনি কাঁদলেন।
এর আগে-পড়ে আইনজীবীদের ক্ষোভের বস্তু হওয়ায় কেঁদেছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার আটক হওয়ার পর মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে। একই সঙ্গে সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কেও আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এদিন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাদের দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মোহাম্মদপুর থানায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক হৈ চৈ এর মধ্যে আদালতের কাঠগড়ায় উঠানো হয় দীপু মনিকে। এসময় আইনজীবীরা ‘চোর’, ‘ফাঁসি চাই’ বলে চিৎকার করছিলেন। আসামিদের হাতে হাতকড়া না থাকায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আসামিদের হাতকড়া পরানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন। এরপর আসামি জয়কে হাতকড়া পরানো হয়। নারী বিবেচনায় দীপু মনিকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
পরিস্থিতিতে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। বিহ্বল হয়ে পড়ে কাঠগড়ার এক কোনে গিয়ে মাথা নিচু করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ইএইচ