ব্যারিস্টার সুমন ২ দিনের রিমান্ডে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
ব্যারিস্টার সুমন ২ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে (ব্যারিস্টার সুমন) ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে করে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।  তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালত ভবনে প্রবেশ করানোর সময় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার শাস্তি চেয়ে স্লোগান দেন।

এসময় অনেক মানুষের ভীর থেকে কয়েকজন ব্যারিস্টার সুমনকে উদ্দেশ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন। যদিও আগে থেকেই আদালতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার ছিল।

এদিকে আদালতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট এসআই লিটন রায় ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ছিলেন। বিচারক শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। লিটন রায় মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আমি কারাগারে রয়েছি, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি চাই বাংলাদেশ ভাল থাকুক, হবিগঞ্জ ভাল থাকুক’ বলে ব্যারিস্টার সুমন এক প্রতিক্রিয়ায় জানান।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা হয়।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরকারি ডাক-বাংলোয় হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং রাজধানীর বনশ্রীতে আন্দোলনের হামলা মামলায়ও তিনি আসামি।

গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২০ নভেম্বর) তাকে ঢাকার কারাগার থেকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

এদিকে হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি জালাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান সিতু, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি  শাহ রাজিব আহমেদ লিংকন ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বক্তব্যে বলেন, যাদের হাতে আমার আমাদের ভাই খুন হয়েছে, রক্তে লাল, তাদেরকে  দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসন আমলে অবৈধ ভাবে জনগণের ভোটের অধিকার হনন করে। এই খুনি সুমনদের সহযোগিতায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতা ধরে রেখেছিল। আইন বিচার সব কিছু তাদের নিয়ন্ত্রিত ছিল। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে সকল অপরাধ কর্মকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করার দাবি জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি চৌধুরী তাজুল ইসলাম ফরিদসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। 

বিআরইউ