আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেছেন, মামলার এক আসামি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমাদের জন্য হতাশার। আমরা এ ধরনের ঘটনা আর চাই না।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে এতবড় একটা রায় আসবে তা আমরা ৫ আগস্টের আগে চিন্তাও করিনি। এটা অবশ্য পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়েছে। তবে রায় কার্যকরের জন্য এখনও অনেকগুলো পদক্ষেপ বাকি আছে। সেসব যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। সেটা আমাদের চাওয়া থাকবে। আবরার ফাহাদ হত্যার পর হাইকোর্টের রায় পেতে পাঁচ বছর লেগেছে। এই রায় কার্যকর হলে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। আমরা চাই ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।
রোববার (১৬ মার্চ) রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ৫ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।
রোববার দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।
আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু। এছাড়া আদালত কক্ষে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএস