প্রতিটি মানুষ হাসি-খুশি থাকার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এতে কেউ কেউ সফল হচ্ছেন আবার অনেকে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা যে যা-ই করি না কোনো, সুখ ও হাসি-খুশি থাকার জন্যই করি।
আমাদের কাজের প্রয়োজনে সারাদিন স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকতে হয়। উদ্দেশ্য একটাই, বেতন, ইনসেনটিভ থেকে চাকরি হারানোর ভয়, এসবকে কেন্দ্র করেই যেন আমাদের প্রতিটি দিন কাটে। এর সঙ্গে থাকে নানা ব্যক্তিগত সমস্যাও। কিন্তু শুধু এসবে মন দিলে একেবারেই চলবে না। বরং সময় কাটাতে হবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সময় কাটাতে হবে প্রিয়জন, বন্ধুদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে কথা বলে অনেক সমস্যা মিটে যেতে পারে। কথা বলতে হবে নিজেকে উন্নত করার জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মন ভালো রাখতে সবার প্রথমে মন থেকে নেতিবাচক সমস্ত চিন্তাকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। মনে যদি কোনো চিন্তা আসেও, তাহলেও সেগুলোকে ইতিবাচক দিক দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। তবেই কোনো সমস্যা থেকে বের হবে পারবেন।
বেশি স্ট্রেস অনুভব করলে, কাজের থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে হাঁটতে যেতে হবে। ঘরের পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটান। তাদের সঙ্গে খেলা করুন। দেখবেন, মন নিজে থেকেই ভালো হয়ে গেছে।
শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মন ভালো রাখতে হলে শরীরের দিকেও নজর দিতে হবে। নিজের যত্ন নিলে মন ভালো থাকে।
সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি, ভরসাযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে সমস্যার কথা মনের কথা বলা অভ্যাস করতে হবে।
ক্লান্তি দূর করতে ঘুম খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমনো দরকার। অনেক সময় কম ঘুমের কারণেও শরীর ও মনে নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
একাগ্রতা বৃদ্ধির জন্য প্রাণায়াম করতে হবে নিয়মিত। চঞ্চল মনে অনেক সময়ই অধৈর্য অনুভূতি হতে পারে। সেগুলো কাটাতে প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাণায়াম করুন।