ডা. ইসমাইল আজহারি
গরমে ঘামাচির সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ছোট-বড় সবার মধ্যেই ঘামাচির সমস্যৗ হতে পারে। ঘামাচিও এক ধরনের চর্মরোগ।
ঘামাচি সারাতে টেলকম পাউডার, বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকাসহ বিভিন্ন মলম ইত্যাদি ব্যবহার করেন কেউ কেই। তবুও সারে না ঘামাচি।
কেন হয় ঘামাচি?
আমাদের শরীরে অসংখ্য ঘাম গ্রন্থি আছে। সেগুলো মূলত দু’রকম হয়। সেগুলো হলো ‘একরাইন’ ও ‘এপোক্রাইন’। মূলত ৯০ শতাংশ ঘাম গ্রন্থি হচ্ছে এক্রাইন গ্লান্ড।
এই গ্লান্ড বা গ্রন্থি যদি কোনো কারণে বন্ধ বা ব্লক হয়ে যায়, তখন সেখানে কিছু ছোট আকারের র্যাশ দেখা যায়।
এই র্যাশগুলো মূলত লালচে হয়।
এই ছোট র্যাশগুলো বেড়ে যায় যখন শরীরে অতিরিক্ত ঘাম বের হয় তখন। এরকম র্যাশকে হিট র্যাশও বলা হয়ে থাকে। মেডিকেলের ভাষায় একে বলা হয় ‘মিলিয়ারিয়া’।
যেহেতু ঘাম গ্রন্থি ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়, সেহেতু যখন শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হবে সেখানেই এই র্যাশ দেখা যাবে।
গরম পরিবেশ, শক্ত ও টাইট জামা কাপড় পরিধানেও এই সমস্যা বেড়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কসমেটিক ব্যবহারের ফলেও এরকম হতে পারে।
তৈলাক্ত কোন কিছু ব্যবহার করার মাধ্যমেও ঘামাচি বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু গরমে এমনিতেই ঘামের কারণে এক্রাইন গ্রন্থি ব্লক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই এসময় ভারি কাপড় পরিধান করা কিংবা কসমেটিক্স ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঘামাচির প্রতিকার কী?
>> ঠান্ডা পানিতে গোসল
>> ঘরে বাতাসের ব্যবস্থা রাখা
>> অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক কারণেও ঘামাচি হতে পারে।
>> আইসকুল ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করা।
>> দুবেলা করে ক্যালামিন লোশন ব্যবহার করুন।
>> অতিরিক্ত চুলকানি কিংবা ঘা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যদি অতিরিক্ত চুলকানি থাকে তখন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে মেডিসিন নিতে হবে।
যে কোনো প্রয়োজনে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।