ঠিকমতো শরীর পরিচালনায় সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। অঙ্গসমূহের সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে খনিজ ও ভিটামিন। বিভিন্ন খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাটের মতো পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেলও প্রয়োজন।
মিনারেল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যালশিয়াম। বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। যার জন্য সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হচ্ছে কি না সেটি নির্ণয় করা জরুরি। ৬ লক্ষণে বোঝা যায় শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি।
পেশিতে সমস্যা
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিযুক্ত ব্যক্তিরা পেশি ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং খিঁচুনি অনুভব করেন। হাঁটাহাঁটি বা নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এ ধরণের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম গ্রহন করা উচিত।
অতিরিক্ত ক্লান্তি
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে তা আপনার চরম ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার সব সময় অলসতা বোধ করতে পারে। এটির কারণে অনিদ্রাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া হালকা মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা এবং ব্রেইন ফগও হতে পারে যেটি মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া এবং বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
নখ ও ত্বকের সমস্যা
ক্যালসিয়ামের দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে তা ত্বক শুষ্ক, নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, একজিমা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি এবং সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অস্টিওপেনিয়া এবং অস্টিওপরোসিস
হাড় ক্যালসিয়াম ভালোভাবে সঞ্চয় করে। যখন শরীরে ক্যালসিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কম থাকে, তখন শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর এবং আঘাত প্রবণ হয়ে ওঠে। এমনটা হতে থাকলে একসময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে অস্টিওপেনিয়া এবং পরে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। এমন হলে তা হাড়গুলোকে পাতলা করে তোলে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে ফেলে।
দাতেঁর সমস্যা
শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে তা দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণে দাঁতের ক্ষয়, দাঁত ভঙ্গুর, মাড়ি খিটখিটে এবং দাঁতের শিকড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
বিষণ্ণতা
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যালসিয়ামের অভাবে হতাশাসহ মেজাজ খারাপ হওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আমারসংবাদ/আরইউ