সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ `রিন নামকরা নারী` খেতাব পেলেন WFH Foundation এর চেয়ারপার্সন তাহমিনা তৃষা। WFH Foundation সমাজ পরিবর্তনে ২০১৬ সাল থেকে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। ভালোবাসা দিবসে যেখানে সবাই তাদের পরিবার পরিজন,প্রিয় মানুষের সাথে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করে সেখানে সমাজ কথিত সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু সবার মাঝে খুশি ছড়িয়ে দিতে দিনব্যাপী নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে ওয়ার্কস ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন।
ভালোবাসা শুধু ভালোবাসার মানুষটির জন্য নয়, বরং পরিবারবিহীন মানুষদেরও রয়েছে ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার; এই ধারণা প্রেক্ষিতে ২০১৮ সাল হতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এতিম শিশুদের সাথে উদযাপন করে এই সংগঠন। এই সংগঠনে স্পন্সর হিসেবে ছিলো সায়েম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক ওয়ার্কস ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন তাহমিনা তৃষা জানান, “মূলত ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে তাদের এই প্রয়াস। কিছু শিশু আছে যারা অনেকটা অবহেলা পেয়ে থাকে, ভালবাসার অভাব বোধ করে। মূলত তাদের কষ্টটা কিছুটা সময়ের জন্য লাঘব করার চেষ্টাই মূলত আমরা করে থাকি।”
২০১৮ সালে ১৩টি জেলায় ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে শুরু হয় ভালোবাসা দিবসে ওয়ার্কস ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ, যার নাম দেওয়া হয় Donate Love, Spread Happiness সমাজ পরিবর্তনে অবদান রাখার জন্য ২০১৭ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড অর্জন করে ওয়ার্কস ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন।
গ্রামাঞ্চলে বইবাড়ি লাইব্রেরি, নারীদের স্বাবলম্বী করতে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য জীবন সুন্দর ক্লাবসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এই সংগঠন। তাদের সকল উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম এর মধ্যে অনতম একটি হলো প্রজেক্ট ত্রিবেণী। বিগত কিছু বছর ধরেই তারা মানুষকে সাবলম্বী করার লক্ষ্যে শুরু করে প্রোজেক্ট ত্রিবেনী।
প্রোজেক্ট ত্রিবেনী সম্পর্কে চেয়ারপার্সন তাহমিনা তৃষা বলেন, “আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যেসকল পরিবারের মাসিক আয় ৫,০০০ টাকার কম, সেসকল পরিবারকে দীর্ঘস্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করে দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ২০১৮ সাল হতে সারাদেশে পরিচালিত হচ্ছে "প্রজেক্ট ত্রিবেণী"।
প্রজেক্ট ত্রিবেণীর মাধ্যমে ব্যবসায়ের জন্য যেসকল উপকরণ উপহার দেওয়া হয়; রিকশা, ভ্যান, সেলাই মেশিন, গরু – ছাগল, ব্যবসায়ের কাঁচামাল ও কৃষিবীজ।“ ফলে পরবর্তীতে তাদের আর সাহায্যের আশায় থাকতে হয়নি। তারা নিজেরাই এখন নিজেদের জীবীকা নির্বাহ করতে প্রস্তুত।