আসছে গ্রীষ্মের গরম। ঘরের বাহিরে গেলে যেন পুড়ে যায় শরীরের ত্বক। সেই সঙ্গে চলছে রমজান। দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করায় ও তীব্র গরমে যখন তখন যে কারও হতে পারে হিট স্ট্রোক মত বড় কোনো দুর্ঘটনা।
একদিকে প্রচণ্ড রোদ ও গরম তার উপরে রোদে ঘোরাঘুরি করে কাজের চাপ, সব মিলিয়ে এসময় হিট স্ট্রোকের সম্মুখীন হতে পারেন অনেকেই। এক্ষেত্রে কীভাবে বুঝবেন হিট স্ট্রোক হলো নাকি না হলো, প্রতিরোধের উপায় কী জেনে নিন।
কী লক্ষণসমূহ দেখা দিলে বুঝবেন আপনার হিট স্ট্রোক হয়েছে:
- ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের একটি অন্যতম লক্ষণ।
- হিট স্ট্রোকের আগে ত্বক শুষ্ক আর লালচে হয়ে ওঠে।
- রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় হিট স্ট্রোকের আগে।
- এসময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায়।
- হিট স্ট্রোকের সময় নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়।
- মাথা ঝিমঝিম ও শরীরে খিঁচুনি হতে পারে।
- হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়।
- এসময় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়:
- গরমে সব সময় হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। যাতে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে।
- হিট স্ট্রোক হলে দ্রুত রোগীকে ঠান্ডা পরিবেশে আনতে হবে। সম্ভব হলে এসি লাগানো ঘরে রাখুন।
- যে কোনো উপায়ে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে।
- হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর বারবার পানি ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে দিন। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে।
- ঘরের ফ্যান বা এসি চালিয়ে রাখুন।
- যারা দিনে বেশিরভাগ সময় বাইরে খোলা আকাশের নীচে কাটান বা রোদে ঘোরাঘুরি করেন তারা গরমে সচেতন থাকুন। ছোট ছোট বিরতি নিয়ে কাজ করুন।
প্রাথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোকের মোকাবেলা করার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। তখন থেকে ডাক্তারের পরামর্শে চলা উচিৎ।
বিআরইউ