বছর ঘুরে রহমত-মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে ফিরে এলো মাহে রমজান। রমজান, দেহ-মন পরিচর্যার, আত্মিক শুচিশুদ্ধতা লাভের অন্যতম মাধ্যম। রমজান, মুমিনের জীবনের শ্রেষ্ঠতম আনন্দের ক্ষণ।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় রোজাদার ব্যক্তি রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতের শেষভাগে সুবহে সাদিকের আগে যে খাবার গ্রহণ করে তাকে সেহরি বলা হয়। সেহরিতে খাবারের তালিকায় সস্তা বা দামি যাই থাকুক না কেন সেহরি অত্যন্ত বরকতময় একটি খাবার। তবে রোজায় সুস্থতা ধরে রাখা জরুরি। যে কারণে সাহরির খাবারের প্রতি খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যা সারাদিনের ক্ষুধা মেটাতে কার্যকর হবে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, রমজান মাসে দিনভর যে শক্তি ও পুষ্টির চাহিদা থাকে তা পূরণে সেহরি ও ইফতারে এমন খাবার খেতে হবে যেগুলো প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এবং এ সময় যথেষ্ট পানি পান করতে হবে। যেমন- দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, শসা-টমেটোর মতো সালাদ, ফলমূল, স্যুপ, অলিভ অয়েল অথবা কম তেলে রান্না করা সবজি এমন।
এছাড়া মাছ, মাংস এবং সবজির পাশাপাশি দই-চিড়ার মতো খাবারের দিকেও গুরুত্ব দেন পুষ্টিবিদরা।
এক্ষেত্রে আরেকটি বিবেচনার বিষয় হলো যেসব খাবারে ফাইবার বা আঁশ বেশি থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা যায়- মটরশুঁটি, শিম বা ছোলার মতো খাবার ভরপেট খাবার খাওয়ার মতো অনুভূতি ৩০ শতাংশের বেশি বাড়িয়ে দেয়।
আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে আরও রয়েছে ডাল জাতীয় শস্য, খোসাসহ রান্না করা আলু বা শেকড় জাতীয় সবজি, বাদাম, তেলবীজ জাতীয় খাদ্য এবং ফলমূল। হোলগ্রেইন আটার রুটি ছাড়াও বাদামি চালেও আঁশ থাকে। তবে পর্যাপ্ত পানি করার পাশাপাশি লবণাক্ত খাবারের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেন পুষ্টিবিদরা।
বিআরইউ