অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে কথাসাহিত্যিক খোন্দকার মাহফুজুল হকের সামাজিক উপন্যাস ‘মায়া’। সময়ের পথ ধরে এগিয়ে চলছেন তিনি। বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবী। পাশাপাশি পত্র পত্রিকায় প্রতিনিয়ত লিখে যাচ্ছেন সেই কিশোর কাল থেকে। লেখকের সামাজিক উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লি.। পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি অংশে প্রকাশনীর ৭২৭ নম্বর স্টলে।
‘মুখোশের অন্তরালে’, ‘খেয়ালী দুপুর’, ‘সোনাই বিবি’, ‘উহারা’, ‘টুইনগার্ল’, ‘জগুন আলি ও করোনা ভাইরাস’ তার সৃষ্ট উপন্যাস। ‘মায়া’ উপন্যাসটি নব সংযোজন হয়ে এর কলেবর এগিয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ‘ফেরা’, ‘খেয়ালী দুপুর’ এবং বৃষ্টিকে উপজীব্য করে লেখা ‘রুপালি বৃষ্টি’ গল্প সংকলনও পাঠকদের মন কেড়েছে। ‘মুখোশের অন্তরালে’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম। পেয়েছে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি কিছু সময় করেছেন শিক্ষকতাও।
খোন্দকার মাহ্ফুজুল হক বলেন, ‘মায়া’ এটি একটি সামাজিক উপন্যাস। এক তরুণীর অব্যক্ত শিশুকাল, বাল্যকাল, কিশোরী কাল এবং সর্বশেষ বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। আমাদের চারপাশের পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে গল্পের কাহিনীটি ফুটে উঠেছে। সংস্কৃতিমনা এক তরুণীর বেড়ে ওঠার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে তার বন্ধু বান্ধব ও মুরুব্বিজনের চরিত্র। কান্না, হাসি, আনন্দ, বেদনা চাওয়া, পাওয়া সবগুলো ঘটনার ধারাবাহিকতায় দূরের এক প্রান্তিক গ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীর সাথে এসে মিশেছে একাকার ভাবে।
তিনি আরো বলেন, জীবনের আঁকা বাঁকা চলার পথে ঘটে যাওয়া অনেকগুলো বিষয় উপন্যাসটিতে স্থান পেয়েছে। যাতে নির্মল আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে গভীর বেদনার ছাপ। রয়েছে চরিত্রের প্রয়োজনে হাস্যরস, বাস্তবতা এবং সমাজের বিশেষ বিশেষ শ্রেণীর আচরণের প্রভাব।
সব মিলিয়ে উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে পারিবারিক সামাজিক এবং এক তরুণীর নিজস্ব চিন্তা, যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে উপন্যাস ‘মায়া’।