অপসংস্কৃতির গ্রাস থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে: প্রধান বিচারপতি

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম
অপসংস্কৃতির গ্রাস থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে: প্রধান বিচারপতি

‘মহান মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিকদের দেখানো পথ ধরে তরুণ প্রজন্ম আগামী দিনগুলোতে সুস্থ বাঙালি সংস্কৃতির সোনার বাংলা গড়ে তুলে বিশ্বদরবারে বাঙালি সংস্কৃতির মর্যাদা বৃদ্ধি করবে’– বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, ‘তবেই আমাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের আত্মত্যাগ সফল হবে।’

রোববার জাতীয় জাদুঘরের ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের সংবর্ধনা ২০২৩’ শীর্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী শব্দসৈনিকদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে অবাধ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমরা একটি সাংস্কৃতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সুস্থ ধারার বাঙালি সংস্কৃতি আজ হুমকির সম্মুখীন। তাই তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের প্রতি আহ্বান থাকবে—মহান মুক্তিযুদ্ধের শব্দসৈনিকগণ শিল্পের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সকল প্রকার আগ্রাসন, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করে অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস হতে দেশকে মুক্ত রাখতে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান হতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করুন।’

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি জাতীয় জাদুঘরের পর্ষদ সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ এবং  জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার আসমা ফেরদৌসি।

অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, কলাকুশলীসহ জীবিত ৮৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে উপস্থিত ৫৪ জন শব্দসৈনিককে আজ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট, চেক ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা। পরে সংবর্ধিত শব্দ সৈনিক অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, মনোরঞ্জন ঘোষাল, তিমির নন্দী, শারমিন সোনিয়া মুরশিদ প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধের সেইদিনগুলো স্মৃতিচারণ করনে। আর সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বাধীন বাংলা বেতারবকর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শব্দ সৈনিক মনোয়ার হোসেন খান।

এইচআর