বৃষ্টি সূত্রধরের কবিতা মাতৃস্নেহ

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
বৃষ্টি সূত্রধরের কবিতা মাতৃস্নেহ

মাতৃস্নেহ

মায়ের কোলে শুয়ে খোকা
দেখিতেছে রাতের জোনাকি পোকা
হঠাৎ চাহিয়া দেখিলেন মাতা
বাছা যে তাঁর কয় না কথা।

চারিদিকে ঘনায়াছে কালো অন্ধকার 
কাঁদিতেছেন মাতা আর করিতেছেন চিৎকার।
বাছা যে তাঁহার মরণাপন্ন
ব্যাধিতে যে তার জীবনাচ্ছন্ন।

জোনাকির আলোয় ছমছম কালো রাত,
ভাবিতেছেন মাতা আসিবে কখন প্রভাত!
আঁধারে বসে কাকগুলো সব কা কা শব্দ করে
চমকে উঠিয়া মাতা খোদাকে স্মরণ করে।

করিতেছেন তিনি মোনাজাত আল্লাহর দরবারে,
খোদা যেন তাঁর ছেলেকে দেয় শুধু ভালো করে।
কাঁদিয়া খোকা করিয়া ওঠে চিৎকার,
কহিলেন মাতা, "হে খোদা , আছে কী এর প্রতিকার?

রাশি রাশি দুশ্চিন্তা দিচ্ছে মায়ের মনে উঁকি।
এই বুঝি তাঁর খোকা যাবে বহুদূরে,দিয়ে যে তাঁকে ফাঁকি।
হাহাকারে যাইতেছে ছেয়ে ,বিরহী মায়ের মন,
খোয়া যেন নাহি যায়, তাঁহার খোকার প্রাণ।

ছেলের জন্য পথ্য কিনতে পয়সা জোটেনি মায়ের ,
তবু করেনি সাহায্য বিত্তশালীরা সব গায়ের ।
কহিলের মাতা হায় রে খোদা কাদের দিয়েছো ধন!
দুঃখ দেখলেও কভু কাঁদেনা যাদের প্রাণ।

কাঁদিয়া কহিলেন মাতা হে খোদা, হে রহিম রহমান,
দয়া মোরে আর বাঁচাও খোকার প্রাণ।
প্রার্থনা তাঁহার কবুল করিলো, আল্লাহ যে দয়াবান।
ফিরিয়ে দিলেন তিনি মায়ের ছোট্ট খোকার প্রাণ।

বাঁচিয়া উঠিলো খোকা, ঘুচিলো মৃত্যুভয় ,
মাতৃস্নেহের কাছে হইল মরণের পরাজয়।
প্রার্থনায় তাঁহার খুশি হইয়া খোদা দিলেন বর,
বরেতে তাহার ঘুচিলো অভাব, সুখে ভরিলো ঘর।

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।

ইএইচ