কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্পের মূল ভাবনা

আমার সংবাদ ডেস্ক: প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪, ১২:১১ পিএম
কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্পের মূল ভাবনা

কৃত্রিম প্রজনন প্রকল্প মূল ভাবনায় ২ টি প্রধান উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রজনন কর্মী তৈরি করে এই সেবা সহজ করা। কৌলিক ( জেনেটিক)  মান উন্নয়ন করে দেশীয় গরুর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা ( সংখ্যা ও পরিমাণ)  বৃদ্ধি করা।

এ জন্য প্রকল্পে যা করা হয়েছে :
১, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪০০০ প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি করা হয়েছে, যারা কৃষকের বাড়িতে গিয়ে প্রজনন সেবা দেয়।
২. সিমেন তৈরির জন্য ৪ টি ল্যাব তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রজনন এর জন্য সিমেন তৈরি হয়
৩. সিমেন সংগ্রহের জন্য ৩৪০ টি বুল ক্রয় করে ল্যাবে দেয়া হয়েছে।
৪. দেশি গরু যাতে বেশি দুধ ও মাংস দেয় সেই জন্য আমেরিকা ও কানাডা থেকে বেশি দুধ ও মাংস দেয়া ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়, ষাঁড় তৈরির জন্য বকনা ও সিমেন আনা হয়েছে।
৫. প্রজনন কাজের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন নাইট্রোজেন,  হ্যান্ডগ্লভস সহ অন্যান্য প্রজনন সামগ্রী প্রকল্প চলাকালীন একটানা সরবরাহ করা হয়েছে।
৬. এই প্রজনন সামগ্রী কর্মীর হাতে পৌঁছে দিতে দেশের ২১ টি জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের জন্য ২১ টি গাড়ি এবং তার ফুয়েল, ড্রাইভার দেয়া হয়েছে। 
৭. ফলে কখনো কোনোভাবেই প্রজনন কাজে বিঘ্ন ঘটেনি।

ফলাফল : 
প্রজনন সেবা সহজ ও উন্নত হওয়ায় দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা বেড়েছে।
মাংসে দেশ স্বনির্ভর হয়েছে
বিদেশে মাংস রপ্তানি হচ্ছে 
দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে
২০ লিটার দুধের গাভি দেশে আনাচে কানাচে
কোরবানির ব্যাপক গবাদিপশুর চাহিদা দেশি গরুতে পূর্ণ হয়েছে।

একটি মাত্র প্রকল্পে বিদেশ নির্ভরতা শূন্যের কোটায়, গবাদিপশুর উৎপাদনে এই প্রকল্পের অবদান:
১. ৪৭ লক্ষ সিমেন তৈরি যা মোট চাহিদার ৬০%
২. সরকারি পর্যায়ে ৯৮ ভাগ প্রজনন এই প্রকল্পের কর্মীদের হাতে হয়।
৩. স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এই প্রকল্প এই বৃহৎ অর্জন সাধিত করেছে।

এক কথায় দেশের প্রতিটি বাছুর এই প্রকল্পের কর্মীদের হাতে ভূমিষ্ঠ হয়।

বিআরইউ