মির্জাগঞ্জে খাল খননে হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে 

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ১২:৫৯ পিএম
মির্জাগঞ্জে খাল খননে হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে 

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এলজিইডি ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ১৬টি খাল খননে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন মির্জাগঞ্জের কৃষক ও মৎস্য চাষিরা। উপজেলার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া এলাকায় এলজিইডি বিভাগের সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে খাল খননের কাজ। এই খাল খননের ফলে এলাকার কৃষি জমি আবাদের উপযোগী হয়েছে। খাল খননের ফলে কৃষি ও মৎস্য চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এমনটাই ধারনা ওই এলাকার কৃষকদের। আর এত বদলে যাবে ৭টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষকের ভাগ্য। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন তারা। 

এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের আওতায় কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উদ্যোগে ৭টি খালের ১৪ কিলোমিটার ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ উপজেলায় ২টি খালের প্রায় ৩ কিলোমিটার খাল খনন করা হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার দক্ষিন আমড়াগাছিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর মাধ্যমে কামারের খাল,পূর্ব আউড়া খাল,মঙ্গলের খাল,নাপিতের খাল,যুগির খালসহ ৭ টি খালে মোট ১১ কিলোমিটারের খননের কাজ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল।

দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের কৃষক জলিল ফকির,আলতাফ খাঁন ও রফিক আকন বলেন, খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়াতে পানির অভাবে সময়মতো চাষাবাদ করতে পারতাম না। খাল খননের ফলে এখন সঠিক সময়ে ক্ষেতে পানি আসায় সঠিক সময়ে চাষাবাদ শুরু করতে পারবো এবং ফসলও বেশি উৎপাদন হবে। 

স্থানীয় মৎস্য চাষি সোহেল বলেন, খাল খননের পরে পানি সল্পতা থাকবে না। খালের দু’পাড়ে উঁচু রাস্তা হওয়াতে নানা ফসল ফলাতে পারবো। মাছের ও সবজি একত্রে চাষ করে পরিবারে স্বচ্ছলতা। এজন্য মাছ চাষে খুবই উপকার হবে। 

সমিতির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান লিটন বলেন, আমরা সিডিউল মোতাবেক এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এখন খাল খনন করায় কৃষকরা চাষাবাদে উপকৃত হবে এবং উপজেলায় বিএডিসির আওতায় আরো কয়েকটি খাল খনন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান জানান, এলজিইডি টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাল খনন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রবি মৌসুমে ফসলের ব্যাপক অগ্রগতি হবে, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ, এক ফসলীয় জমিকে বহু ফসলীয় জমিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব এবং ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধি, পতিত জমির পরিমাণ হ্রাস, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, কৃষি শ্রমিকদের সারা বছরই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ খাল খননের ফলে ওই এলাকার কৃষি ও মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটবে। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য অনুসারে কোন আবাদী জমি পতিত রাখা যাবে না। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সকল পতিত জমিগুলোকে আবাদি জমিতে রুপান্তর করতে হবে।

কেএস