জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, জাতিসংঘের আমন্ত্রণে কোনো বৈঠকে সেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব কে করবে তা ওই রাষ্ট্রই ঠিক করবে। আর ওই বৈঠকের জন্য ভিসা ও জাতিসংঘে আসতে দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব।
মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের জাতিসংঘের বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ছয় কর্মকর্তা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে এক আদেশ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে বেনজীর আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত শুক্রবার বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে আমাদের দাওয়াতপত্র দেওয়া হয়েছে। আমরা তা গ্রহণ করেছি। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি কীভাবে জাতিসংঘে আমন্ত্রণ পেয়েছেন আর কীভাবে তিনি জাতিসংঘে যাবেন—এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, আমরা মনে করি, এখানে দু’টি বিষয় আছে। প্রথমত, জাতিসংঘের বৈঠকে কোনো রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব কে করবে সে বিষয়ে মনোনীত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুলো স্বাধীন। এ সিদ্ধান্ত আমরা নিই না। মুখপাত্র আরও বলেন, এখানে আসা ও ভিসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিশনকে প্রশ্ন করতে পারেন। কারণ ভিসা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দেয়।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে আইজিপি বেনজীর আহমেদ জাতিসংঘের সম্মেলনে অংশ নিতে নিউ ইয়র্কে যেতে পারবেন কি না - সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, না হওয়া (ভিসা) পর্যন্ত বলা মুশকিল। তিনি আশা করেন, কোনো রকম অসুবিধা না হলে আইজিপি বেনজীর আহমেদ যোগ দিতে পারবেন। আর সমস্যা থাকলে তাঁরা বিষয়টি আগেই জানার চেষ্টা করবেন।
জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, জাতিসংঘে আমন্ত্রিতদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতীতে এর ব্যত্যয়ও ঘটেছে।
এবি