বাল্য বিয়ে করানো কাজী মুচলেকায় ছাড় পেলেন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম
বাল্য বিয়ে করানো কাজী মুচলেকায় ছাড় পেলেন

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় আগিয়া ইউনিয়নের কাজী নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে সম্পাদনের অভিযোগ ওঠেছে। শুধু তাই না, নিজ ইউনিয়নে বিয়ে রেজিষ্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও নিয়ম ভেঙে তিনি অন্য ইউনিয়নের আওতাভূক্ত এলাকায় বিয়ে নিবন্ধনেরও করেন।

বাল্যবিয়ে সম্পন্নের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলেও সংশ্লিষ্ট কাজীকে মুচলেকার বিনিময়ে ছাড় দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত  ১৬ আগস্ট পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের বেড়াইল গ্রামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ে সম্পন্ন করেন কাজী নূর মোহাম্মদ। বরের বাড়ি একই উপজেলার সদর ইউনিয়নে মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায়। ইউনিয়ন ও পৌরশহরে ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজীদের কর্ম এলাকা নির্ধারণ থাকলেও নিজ কর্ম এলাকার বাহিরে বাল্যবিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন ওই কাজী। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

ওই কিশোরীর জন্ম নিবন্ধন সনদ ঘেঁটে দেখা গেছে, জন্ম সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৬ বছর তিন মাস।

আগিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সানোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।

কাজী নূর মোহাম্মাদ বলেন, বরের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এটা প্রেম ঘটিত বিয়ে ছিল। ছেলে পক্ষের অভিভাবক থেকে ছেলের ২০০০ সাল ও কনের ২০০৪ সালের জন্মসনদ দিয়েছে। দুই পক্ষের উপস্থিতিতে রাত একটার দিকে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময়  মোবাইলে ‘এমবি’ না থাকায় জন্মসনদ যাচাই করতে পারিনি। এই কথাগুলো এসিল্যান্ড স্যারকে বলেছি। জন্মসনদের কাগজপত্র আমার ও স্যারের কাছে আছে। পরে নিজ কর্ম এলাকার বাহিরে অন্যত্র বিয়ে নিবন্ধন করানোর নিয়ম নেই এটি স্বীকার করেন।

পূর্বধলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নাসরিন বেগম সেতু জানান, গত ১৯ আগস্ট বিষয়টি জানতে পেরে কাজীসহ দুপক্ষকে ডেকেছি। কাজীর কাছে জন্মনিবন্ধনের কাগজ ছিল তাতে বর ও কনেকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখানো হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সংসার শুরু করতে পারবে না। ছেলে ও মেয়েকে দুই চেয়ারম্যানের জিম্মায় উভয়পক্ষের অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। 
মুচলেখার বিনিময়ে কাজীকে ছাড় দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে আবারও ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএস