সারের সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০১:২০ পিএম
সারের সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সারের সংকট আছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। সার নিয়ে অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ১০টায় নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রস্তাবিত রাইস সাইলো নির্মাণের মাটি ভরাটকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের থেকে এবার সারের বরাদ্দ এক টনও কমেনি, কিন্তু চাষের জমির পরিমাণ কমেছে। এ অবস্থায় সার সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। সার নিয়ে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে যাদের এক বস্তা সার প্রয়োজন, তারা দুই বস্তা সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, যাদের সার প্রয়োজন নেই, তারাও ডিলারের কাছে গিয়ে দীর্ঘ লাইন ধরে একটা ঝামেলা তৈরি করে অঘটন ঘটনার চেষ্টা করছে। নওগাঁয় সারের সংকট যাতে না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কোথাও সারের কোনো সংকট নেই।

সার, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সঙ্গে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা ও ডিলারশিপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান সাধন চন্দ্র।

নওগাঁয় প্রস্তাবিত অত্যাধুনিক রাইস সাইলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নওগাঁয় ১৫ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক সাইলো। ইতোমধ্যেই এখানে মাটি ভড়াটের কাজ শুরু হয়েছে। সাইলোর নির্মাণ সম্পন্ন হলে নিরাপদ মজুতের পাশাপাশি এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাইলোতে দুই বছর পর্যন্ত চাউল মজুত রাখলেও বিবর্ণ ও গুণগত মান নষ্ট হবে না বলে জানান তিনি।

এবি