জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টিতে নানা রকম দুর্নীতি হচ্ছে, পদ বাণিজ্য হচ্ছে। ২০ ধারার অপব্যবহার করে দলকে ধ্বংস করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য করা হচ্ছে, কার কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে আমি দেখিয়ে দিতে পারব। দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০ ধারা অগণতান্ত্রিক, এ ধারা বাতিল না করলে জাতীয় পার্টি করব না, কেউ পা ধরলেও না।’
তিনি বলেন, ‘২০ ধারা ব্যবহার করে ৪০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধারা রহিত করা না হলে জাতীয় পার্টি তো করবই না, সংসদ থেকেও পদত্যাগ করতে পারি। তবে অন্য কোনো দলে যাব না।’
‘গোপনে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে। আমার স্বাক্ষরে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি’, উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, ‘রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরাতে যে চিঠিটি স্পিকারকে দিয়েছিলাম, সেটি অগঠনতান্ত্রিক ছিল। সে কারণে চিঠিটি প্রত্যাহারের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন দিয়েছি। বিরোধীদলীয় নেতার পদটি সাংবিধানিক পদ, এই পদ থেকে সরাতে হলে এজেন্ডা দিয়ে বৈঠক ডাকার কথা। জাতীয় পার্টি তড়িঘড়ি করে পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠক করেছে, সেখানে কোনো এজেন্ডা ছিল না। আমি ওই চিঠি দেওয়ার আগেও প্রতিবাদ করেছিলাম, সে কারণে কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
এবি