কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ডিম আমদানি করলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা বাড়বে, যা আমরা চাই না। তাই বিদেশ থেকে ডিম আমদানি দরকার নেই। একটু কষ্ট হবে, কম খাব। তারপরও স্থানীয় পর্যায়ে ডিম উৎপাদন করে খেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিমের সরবরাহ কমে গেছে বলে দাম বেড়েছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নানা চক্রান্ত করে কিছু হ্যাচারি মালিক ডিমের দাম অস্থির করেছে। তাই ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচিত হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, মার্কেটিং বিভাগ কঠোরভাবে মনিটরিং জোরদার করা। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে এটিকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মন্ত্রী কৃষি প্রযুক্তিকে দ্রুত মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়ে বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম তুলনামূলকভাবে কমেনি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। ইউরিয়া সারের দাম কমেছিল, গতকাল আবার তা বেড়েছে। টিএসপি, পটাশিয়াম প্রত্যেকটা সারের দাম বেড়েছে। ২৫০-৩০০ ডলারের সারের দাম ১ হাজার ডলার। কাজেই ওইভাবে কমেনি, আন্তর্জাতিক বাজারে এখনো চরম অস্থিরতা রয়েছে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, কৃষি সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার খান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম।
এবি