ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন। দিনে-রাতে সমান তালে বিদ্যুৎ না থাকা আর অপরিকল্পিত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ।
যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে নগরবাসীর জীবনযাপনে। এদিকে, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ছুটির দিনেও লোডশেডিংয়ের কারণে ক্রেতা না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তিন দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে। দিনে তিন থেকে চারবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রতিবারই এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় করে লোডশেডিং থাকছে। এমনকি শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
অভিভাবকরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুম না হওয়ায় দিনের বেলায় এর প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীরা পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে না। স্কুলেও সময়মতো যেতে পারছে না।
ব্যবসায়ীদের অবস্থাও একই। বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় বাগড়া দিচ্ছে লোডশেডিং। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতারাও আসছেন না। যার কারণে কেনাবেচা অনেক কমে গেছে।
এ ছাড়া নবজাতক ও রাগীরাও লোডশিডেংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন। একটু পরপর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ঠিক মতো ঘুমাতেও পারছেন না তারা।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিড বিপর্যয়ের পর বিদ্যুতের চাহিদার পুরোটা এখনও সরবরাহ করা যায়নি। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। তবে শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, দিনে ও রাতে ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি হচ্ছে। যে কারণে কিছু এলাকায় লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের শিডিউল মানা যাচ্ছে না।
সরকারের ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের হিসাবে গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সারা দেশে।
টিএইচ