বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অন্যতম শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার মূল বিচারিক কার্যক্রম সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে। সাক্ষ্য প্রদানের জন্য প্রথম দিনে মামলার বাদীসহ মোট সাতজনকে আদালতে হাজির থাকার জন্য সমন জারি করা হয়েছে আদালত থেকে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ও মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমার থেকে বাস্ত্যচুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালনকারী আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এ আরএস পি এইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার বৃহত্তর কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি ব্লকে তার সংস্হার কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকদারীদের গুলিতে নিহত হন। তার মৃত্যুর ঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
পিপি ফরিদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। সাতজনের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে। আদালত শুনানী শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন। আদালত ওইদিন ১১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য। বর্তমানে মুহিবল্লাহর পরিবারের ২৫ জন কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্হার সহায়তায়। তবে মামলার বাদী মুহিবুল্লাহর ছোটভাই হাবিবুল্লাহ বর্তমানে কড়া নিরাপত্তায় ক্যাম্পে অবস্হান করছেন। মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
কেএস