মেয়র আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্ভুল তথ্য ভাণ্ডারের সাথে সাথে এই কার্যক্রম সহজীকরণ করতে হবে। এসডিজি গেলে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু দিনের বেলা সার্ভারে প্রচণ্ড চাপ থাকে। মাঝে মাঝে সার্ভার বন্ধও থাকে। যার দরুন আমাদের সিটি কর্পোরেশন থেকে কাজ করতে পারি না। বাধ্য হয়ে যারা নিশাচর, দালাল, তাদের কাছে কাজ দিতে হয়। আমরা সার্ভিস দিতে চাই যেন জনগণের উপকার হয়। আমরা যখন চেষ্টা করি, তখন সার্ভারে ক্যাপাবিলিট থাকে না। বিশেষ করে ডিসেম্বরে জানুয়ারিতে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
হটলাইনে কেউ ফোন ধরে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্ভারের সমস্যায় হটলাইনে কল দিলে কেউ ফোন ধরে না। রেজি. করতে গেলে একটা ভুল হতেই পারে। ৯০ দিন পর সেটা ঠিক করতে যেতে হবে ডিসি অফিসে। সিটি কর্পোরেশন থাকতে কেন ডিসি অফিস! আবার অফিসার বদলি হয়ে গেলে সাত দিন অপেক্ষা। এই ভোগান্তিতে যেতে পারবো না আমরা। আমাদের এখন এটি সহজীকরণ করতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
ডিজিটাল কার্যক্রমে জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিউআর কোড করতে চাই। সিটি করপোরেশনের যে সার্টিফিকেট আমরা দেই, তার নাম দিয়েছি জনভোগান্তি। আর কিউআর কোডের নাম দিয়েছি স্বস্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ইনথিতে ফাইল সাইন করার জন্য। এটা আমরা করতে পারি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটা নিয়ে কি যে ভোগান্তি, তা আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখেছি। এখন সেগুলো সমাধানের সময় আছে। আর এলাকার কাউন্সিল অফিস থেকেও যেন মানুষ জন্মনিবন্ধন করতে পারে, সেটি করতে হবে।
এবি