জানি না সামনে কী হবে, শঙ্কায় জ্বালানি উপদেষ্টা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ০৪:০০ পিএম
জানি না সামনে কী হবে, শঙ্কায় জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, আমরা জানি না সামনে কী হবে। যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার ভবিষ্যৎ কিছু ধারণা পাওয়া গেলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম।

রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিল্পে গ্যাস বাড়ানো বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আগামী ডিসেম্বরে মধ্যে কয়লাভিত্তিক কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। তখন বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে আমরা কিছু গ্যাস শিল্পে দিতে পারবো। 

এরপরও যদি পরিস্থিতি উন্নতির দিকে না যায়, তখন আমরা প্রয়োজনে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার দিকে যেতে হবে।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের ভোলাতে কিছু গ্যাস আছে, সেগুলা আমরা সিএনজি করে দিয়ে আসবো। সেখানে ৮০ এমএমসি গ্যাস আছে। আমরা দুই তিন মাসে সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আজকে যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না।

তৌফিক বলেন, আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। এতে দুই তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সেভ হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। সবাই মিলে যদি রাজি হয় লোড কমাবো তাহলে কিছু গ্যাস রিলিজ হবে।

সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী যখন শিল্পকারখানা খুলে দিলেন, তখন অনেক বুদ্ধিজীবী এর বিরোধিতা করেছিলেন। 

তখন শিল্পকারখানা খুলে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, যার ফলে সারাদেশের জিডিপি নিম্নমুখী বাংলাদেশের জিডিপি ছিল উর্ধ্বমুখী। চলমান এই জ্বালানি সংকটে প্রধানমন্ত্রীকে এখন সেই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ডক্টর ইজাজ হোসাইন প্রমুখ।

টিএইচ