ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের অনেক জেলায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকে উপকূলের জেলায় আঘাত হানতে শুরু করে ঘূর্ণিঝড়। প্রবল বাতাসের সঙ্গে ছিল ভারি বৃষ্টি। এতে পানিতে তলিয়ে যায় অনেক এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে সোমবার কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট নয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হয়। উপকূলের ১৫টি জেলার নদ–নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতা নিয়ে আছড়ে পড়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার দিবাগত রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি রাজধানীর ওপর দিয়ে সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। এ সময় এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
রাজধানীতে ১২৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকার সড়ক। প্রবল বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের অনেক এলাকা ডুবে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলের কোনো কোনো স্থানে ৯ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। জোয়ারের সময় ঝড় হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
ওদিকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওজোপাডিকোর নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলার বিদ্যুৎ শতভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝড়ের কারণে বিতরণ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু কিছু এলাকায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কায় কিছু সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।
ইএফ