তিন দফা দাবিতে সোহেল তাজের পদযাত্রা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২, ১২:১৭ পিএম
তিন দফা দাবিতে সোহেল তাজের পদযাত্রা

জেলহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। 

এর আগে  ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে তার বাবা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে সোহেল তাজ এই দাবি তুলে ধরেন।

তিন দফা দাবি আদায়ে মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বরের সমাবেশে সবাইকে অংশগ্রহণের জোর আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া এভিনিউ সংলগ্ন গোল চত্বর (খেজুর বাগান) থেকে জাতীয় সংসদ ভবন অভিমুখে পদযাত্রা এবং জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে এই সমাবেশে স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে অংশগ্রহণ করার জোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে তিনি এই সমাবেশের আহ্বান জানান। তিনি তার দাবি জানিয়ে ‘ফেসবুকে একটি পোস্ট’ দেন।

সেখানে তিনি লিখেন- ‘দেখতে দেখতে ৪৭ বছর পার হয়ে গেলো অথচ এখন পর্যন্ত জাতির এই ৪ বীর (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মানসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান) যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হল, যাদের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম এবং যাদের প্রচেষ্টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে বাংলার বুকে ফিরে পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নাই। এটা মেনে নেওয়া যায় না’!

আমার দাবি:

১. যেহেতু ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয় সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে তাই এই দিনটিকে "প্রজাতন্ত্র দিবস" ঘোষণা করতে হবে।

২. ৩রা নভেম্বর‍‍` জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।

৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম , অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। আমি মনে করি, আমার এই তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের প্রাণের দাবি।

টিএইচ