দেড় লাখ কৃষকের স্বপ্ন পুড়েছে

সিত্রাংয়ে কৃষিতে ক্ষতি ৩৪৭ কোটি টাকা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০২:৩২ পিএম
সিত্রাংয়ে কৃষিতে ক্ষতি ৩৪৭ কোটি টাকা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে দেশের ৩১ জেলায় বিভিন্ন ফসলের ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ৩১ জেলার মোট ফসলি জমির শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। এতে দেড় লাখ কৃষকের ৩৪৭ কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) ডিএই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইং এবং কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মধ্যে আমন ৫৬০০ হেক্টর, সবজি ২৮০০ হেক্টর, পানবরজ ৮৮ হেক্টর। তবে টাকার দিক থেকে পানবরজের বেশি ক্ষতি হয়েছে, যা প্রায় ১৬২ কোটি টাকা।

সার্বিক বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম বলেন, কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হয়ে থাকে। এই প্রণোদনার বড় অংশ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে দেয়া যেতে পারে।

তিনি জানান, আমরা উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত কৃষকের মাঝে দিবো। এছাড়া বীজসহ নানা উপকরণ সহায়তা দেয়া হবে। তাছাড়া চলতি মৌসুমে আমনের আবাদ এবার বেশি হয়েছে। ফলে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তারপরও কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।

গত ২৪ অক্টোবর (সোমবার) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূল হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা অতিক্রম করে। এদিন ভোররাতে এটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর প্রভাবে বিভিন্ন জেলায় ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তাৎক্ষণিক ৮০ লাখের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

পরের দিন ২৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান তাৎক্ষণিক হিসেবে বলেন, সিত্রাংয়ে ৪১৯টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ও এক হাজার চিংড়ির খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য জানান।

টিএইচ