হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আপনারা অনলাইনে দিয়ে দেবেন: আতিক

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০৬:০৭ পিএম
হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আপনারা অনলাইনে দিয়ে দেবেন: আতিক

ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আকাশের যত তারা, কর আইনের তত ধারা দেখিয়ে দেবেন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আপনারা অনলাইনে দিয়ে দেবেন।

মেয়ের আতিক বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়ার জন্য আপনারা কেউ সিটি কর্পোরেশনের অফিসে যাবেন না। ঘরে বসে এনআইডি ও অনলাইনের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স দেবেন। আমাদের অনলাইন চালু হয়ে গেছে। আপনাদের এনআইডি নম্বর, ই-মেইল এড্রেস ও মোবাইল নম্বরে মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স দেবেন।

বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর আফফান মডেল স্কুল মাঠ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা সিটি কর্পোরেশনে গেলেই আমাদের যারা অফিসার আছেন, বিশেষ করে যারা টাকা নেন, আকাশের যত তারা সিটি কর্পোরেশনের তত ধারা তারা দেখিয়ে দেবে। তাই হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আপনারা অনলাইনে দেবেন। আপনাদের বাসা যত স্কয়ার ফুট সে অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স দেবেন। আপনি যদি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি করেন লোনের অংশ বাদ দিয়ে ট্যাক্স দেবেন।

সিটি কর্পোরেশনের ইনকাম ট্যাক্সের কর্মকর্তাদের ডাক না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, তাদের ডাকলে ওরা গলার মধ্যে ফিতা নিয়ে মাপবে। ব্যালকনি, রান্নাঘর, সিঁড়ি ঘর ও বাউন্ডারি কত মাপ আসে তখন আপনারা সঙ্গে সঙ্গে বলবেন, আর দরকার নেই ভাই। তখন সমতায় যাবেন। ডিএনসিসি অনলাইনের মাধ্যমে  হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ইনশাল্লাহ আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে ট্যাক্স দেবেন। আমরা ট্রেড লাইসেন্সের কাজ অনলাইনে শুরু করেছি। ভবিষ্যতে আপনাদের ঘরেই চলে যাবে ট্রেড লাইসেন্স। তখন আর সিটি কর্পোরেশন অফিসে যেতে হবে না।

মেয়র বলেন, ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ডিএনসিসির ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা  ট্যাক্স আদায় হয়েছে। অন্যদিকে এ ওয়ার্ডে খরচ হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। যে এলাকা থেকে আমি যত বেশি টাকা আদায় করতে পারব, সেই এলাকার উন্নয়নের জন্য মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দিতে চাই। সিটি কর্পোরেশন চলে হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে।

ডিএনসিসির ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল মোল্লার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।