সুপারটুয়েলভ শেষে সেমিফাইনালের দুয়ার খুলতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চার প্রতিদ্বন্দ্বী ইতোমধ্যে নির্ধারিত - নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও পাকিস্তান।
প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান দল। আগামী ৯ নভেম্বর সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ।
আর পরদিন ১০ নভেম্বর অ্যাডিলেড মাঠে হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও ইংল্যান্ড।
দুই সেমিফাইনাল ম্যাচের অনফিল্ড, থার্ড ও চতুর্থ আম্পায়ারও বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আর আম্পায়ারদের নাম শুনেই হতাশ পাকিস্তানি সমর্থকরা।
কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মারাইস ইরাসমাস এবং ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়ার্থকে নিয়োগ করেছে আইসিসি।
তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন রিচার্ড ক্যাটলব্রো, চতুর্থ আম্পায়ারে থাকছেন মাইকেল গফ এবং ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ক্রিস ব্রড।
এমন খবরে পাকিস্তানি ক্রিকেটভক্তদের হতাশ হওয়ার একমাত্র কারণ আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এই আম্পায়ারের অধীনেই খেলেছিল পাকিস্তান। সে ম্যাচে মারাইসের ওপর প্রভাব বিস্তার করেন ভারতের ব্যাটিং সেনসেশন বিরাট কোহলি।
ম্যাচের শেষ ওভারে স্পিনার মহম্মদ নওয়াজের ফুল টস বলটিকে ছক্কা হাঁকান কোহলি। এরপর নো-কল করে আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কোহলি। কোহলির কথায় সাড়া দিয়ে ওই বলকে নো-বল বলে অভিহিত করেছিলেন মারাইস।
এরপর ম্যাচটি হেরে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানি ভক্তদের অভিযোগ ছিল, কোহলির নির্দেশে আম্পায়ার নো-বল দিয়েছেন। নো বল না হলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত।
আর সেই আম্পায়রই পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে আম্পায়ার হবেন! এতে অসন্তোষ বাড়ছে পাকিস্তান সমর্থকদের মাঝে।
এদিকে ভারত -ইংল্যান্ড ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা এবং অস্ট্রেলিয়ার পল রেইফেলকে নিযুক্ত করেছে আইসিসি। এই দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ার হবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফনি। যেখানে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ম্যাচ রেফারি হবেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এবি