রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে ভাষানটেক থানার আওতাধীন ১৫০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প এবং ঢাকার বিজয় সরণিস্থ কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ প্রদানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে ৬ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদিরের পরিবার।
গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র সাগর-রুনী মিলনায়তনে “উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর ফ্রিডম ফাইটার্স ফ্যামিলি” শীর্ষক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন ও মুক্ত আলোচনায় তারা এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে বৃস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে একটি ব্যাখ্যা পাঠানো হয়েছে।
আমার সংবাদের পাঠাকদের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বক্তব্য হুবুহু প্রকাশ করা হলো:-
সংবাদ পর্যালোচনার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশিত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজার শীর্ষক সংবাদের উপর ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আলোচ্য সংবাদে কেবল ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা সরাসরি ভূমি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারধীন। এ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যও নেওয়া সমীচীন ছিল, যা হয়নি।
উপর্যুক্ত সংবাদে উল্লেখিত নর্থ-সাউথ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এনএসপিডিএল) নামের আবাসন কোম্পানির ব্যাপক অনিয়ম এবং চুক্তির শর্ত ভঙ্গের মত জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে গত ১৯শে অক্টোবর ২০১০ তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয় এনএসপিডিএল-এর সাথে চুক্তি বাতিল করে। চুক্তির যেসব শর্ত ভঙ্গ করে অনিয়ম করা হয়েছে তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে: এনএসপিডিএল কর্তৃক ফ্ল্যাটের জন্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য গ্রহণ, ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে এনএসপিডিএল কর্তৃক ইচ্ছামত সুবিধাভোগীদের নিকট ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদান, অতিরিক্ত হারে ইউটিলিটি চার্জ আদায়, ব্যাংকের পরিবর্তে এনএসপিডিএল কর্তৃক নিজ অফিসে ফ্ল্যাট বিক্রয় ও জামানতের অর্থসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট লেনদেন সম্পাদন, মোট নির্মিতব্য ফ্ল্যাটের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করা ইত্যাদি।
উপরন্তু, ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পের ৪টি এ টাইপ ভবনে ৫৭৬ জন সুবিধাভোগী বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট বিতরণ করে এবং ৪টি বি টাইপ ভবনে ৩৮৪ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ফ্ল্যাট বিতরণ করে। এছাড়াও, বর্তমানে ৩টি এ টাইপ ও ৮টি বি টাইপ ভবনে সর্বমোট ১২৯৬টি ফ্ল্যাট তৈরির জন্য ডিপিপি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মানের জায়গায় আসীন করে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে নিয়েছে বহুবিধ পদক্ষেপ। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। এ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে উত্তম চর্চা ও পেশাদার সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী গণমাধ্যম সর্বদা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় মর্মে ভূমি মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
এবি