বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিতরণ পাইকারি পর্যায়ে দাম ১৯.৯২ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয় করা হলেও এখন খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের শুল্কের নতুন সমন্বয় খুচরা পর্যায়ে গ্রাহকদের জন্য কার্যকর হবে না এবং এটি কেবল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এবং কিছু অন্যান্য বাল্ক গ্রাহকের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।’
প্রতিমন্ত্রী সোমবার (২১ নভেম্বর) তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিইআরসি গণশুনানি এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তেল ও জ্বালানির মূল্য যাচাইয়ের মাধ্যমে নতুন সমন্বয় ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিইআরসি নতুন দাম ঘোষণা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চাই। আমরা সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।’
এর আগে বিইআরসি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৬.২০ টাকা নির্ধারণ করে, যা ১ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে কার্যকর হবে। এর আগে বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.১৭ টাকা।
১ মার্চ, ২০২০-এ খুচরা ও পাইকারি উভয় পর্যায়েই ক্ষেত্রেই শেষ দাম বাড়ানো হয়।
রাজধানীর কাওরান বাজারে তার সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) নতুন দাম পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল, কিন্তু বিইআরসি তা প্রত্যাখ্যান করে।’
১৩ অক্টোবর নিয়ন্ত্র¿ক কর্তৃক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিপিডিবি ১৪ নভেম্বর বিইআরসিতে রিভিউ আপিল দায়ের করে।
এবি