মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে: মেয়র আতিক

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম
মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে: মেয়র আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি এলাকায় মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। সবাইকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে। আমি সবাইকে সাতদিনের সময় দিচ্ছি। এরপর আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবো, পাশাপাশি ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটও অভিযান পরিচালনা করবে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনে মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মেয়র আতিক বলেন,  ডিএনসিসির কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্র কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না, নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা রয়েছে। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।

মেয়র আতিক বলেন, শুধু কিউলেক্স মশা নয়, এডিস মশাও এখনো রয়েছে। আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম ও অভিযান চলমান। দুই ভবনের মাঝখানে খালি জায়গায় অনেকে ময়লা ফেলে দেন। দয়া করে এটি বন্ধ করুন। স্থানীয় জনগণ ও হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বন্ধে কাজ করুন। অনেক হাউজিং সোসাইটি মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনেছেন। আমরা সেসব সোসাইটিকে ডিএনসিসি থেকে বিনামূল্যে মশার ওষুধ সরবরাহ করবো।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামসহ প্রমুখ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দসহ ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ।

এবি