বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, সামনে পুরো বছর নির্বাচনের সময়। এখন থেকেই ফিল্ডে যদি না নামি তাহলে আমাদের কপালে দুঃখের ব্যাপার আছে। তাই আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচনের জন্য মানুষের মানসিক যায়গা তৈরি করে দেয়া। আমরা যে যেখানেই আছি চলেন শুধুমাত্র এই কাজটুকুই করি যে, মানুষকে বোঝাই। মানুষকে ধরেধরে ভোট দেয়ানো সম্ভব না, তাদের বোঝাতে হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে `জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনঃ বাঙ্গালির স্বাধীনতার পরিপূর্ণতার দিন` শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামনে পুরো বছর নির্বাচনের সময়। এখন থেকেই ফিল্ডে যদি না নামি তাহলে আমাদের কপালে দুঃখের ব্যাপার আছে। তাই আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রথম কাজ হচ্ছে নির্বাচনের জন্য মানুষের মানষিক যায়গা তৈরি করে দেয়া। আমরা যে যেখানেই আছি চলেন শুধুমাত্র এই কাজটুকুই করি যে, মানুষকে বোঝাই।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন দেখে মানুষ অবশ্যই ভোট দিবে তবে শত্রুদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
তিনি বলেন, আসলাম এবং বক্তৃতা দিলাম আর চলে গেলাম এটাতেই রাজনীতি হয় না। সামনে আমাদের একটা যুদ্ধ আছে এটাকে হালকা ভাবে নিয়েন না। যদি ভাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অনেক কিছু (উন্নয়ন) করেছে, মানুষ আমাদের ভোট দিবে এমনটা ভাবারও কিছু নেই। যদি সত্যিকার মানুষ হয় তাহলে সে এর বাইরে কেমনে যাবে। তারপরও শত্রুরা কিন্তু বসে নাই। অর্থও আছে তাদের কিন্তু কেবল মাত্র সমর্থন নেই, মানুষ তাদের সঙ্গে নাই। যে কারণেই আমাদের মানুষকে বোঝাতে হবে।
পাকিস্তান আমলেই ভাল ছিলাম, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, পাকিস্থানিরা তাদের প্রধান মন্ত্রী কে বলেন আমাদের সুইডেন হওয়া দরকার নেই বাংলাদেশ বানালেই হবে। যেখানে ওরা (পাকিস্তানিরা) বলে এই কথা সেখানে এই ব্যাক্তির (মির্জা ফখরুলের) কথা শুনলে আমাদের ঘৃণা হয়। ওদের কথা শুনে আমার একটা কবিতা মনে পড়ে। `পাকিস্তানের ভালো ছিলাম মির্জা ফখরুল কা বাত,,দেশবিরোধী ওরা সবাই রাজাকারের জাত,, মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ শহীদ গুনল তাদের প্রাণ, বিএনপির মাথায় ঘুরে পেয়ারে পাকিস্তান,, স্বাধীনতা বিরোধী রক্ত যখন ধমনীতে বয়, রাজাকারের বাচ্চারা সব এমনই কথা কয়।`
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যা কেন হয়েছিল এবং এর কারণ জানতে কমিশন গঠনের দাবি জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস আমাদের জানা উচিত।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে, বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হোসেন প্রমূখ।
এবি