স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। ওষুধ মানুষের জীবন রক্ষাকারী একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন দেশের আইনে একটি গুরুতর অপরাধ। ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণন করতে না পারে সে লক্ষ্যে ওষুধ প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জনান।
এক প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদকের বিস্তার রোধসহ মাদকাসক্ত ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাসহ চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধ করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেওয়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদক সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য/অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদকাসক্ত ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে; থানা এলাকায় টহল ডিউটি জোরদার করা হয়েছে এবং কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তাৎক্ষণিক তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে; চুরি, ছিনতাই রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল এবং চেকপোস্ট ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত আছে; চুরি, ছিনতাই ও মাদক পরিবহন বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে; মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনপূর্বক তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে; স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করে জননিরাপত্তা নিশ্চিন্তে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে; ঢাকাসহ সারাদেশে মাদকের বিস্তার রোধকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খল বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে চুরি, ছিনতাই, মাদক ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এবি