সাকরাইন উৎসব উদযাপনের রাতে সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ করতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ থানায় থানায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীটি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন,রাজধানীর থানাগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরান ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি বড় মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আমরা বুঝিয়েছি, কেউ যাতে ফানুস বিক্রি করতে না পারে।
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহর উদযাপনের রাতে ওড়ানো ফানুস গিয়ে পড়ে মেট্রোলের বৈদ্যুতিক তার এবং রেললাইনে। ফলে ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ফলে ১ জানুয়ারি দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
তাই ডিএমপির সব থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেনো ফানুস বিক্রি ও ওড়ানো না হয়। যদি কেউ ফানুস ওড়ায় বা আতশবাজি ফোটায় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি। ডিএমপি সূত্রে আরও জানা যায়, রাজধানীর যেসব এলাকায় ফানুস বিক্রি হয় গত কয়েক দিন ধরে সেসব জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ। বিক্রেতাদের গতবারের অগ্নিদুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফানুস বিক্রি না করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সরেজমিনে পুরান ঢাকার একাধিক দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে ফানুস বিক্রি চলছে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) গণমাধ্যমকে মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ফানুস ওড়ানো যাবে কি না, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা আছে। আমাদের লোকবলও সতর্ক থাকবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তবে, আমরা আহ্বান জানাবো সবাই যেন একটু সতর্ক থাকেন, সচেতন থাকেন। ফানুসের কারণে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের প্রথম দিন ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করে পুরান ঢাকাবাসী। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি আর রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে সাকরাইন উৎসবকে উদযাপন করার রীতি অনেক পুরনো। আর আতশবাজি এবং ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রতিবছরই এদিন ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
বিল্লাহ