‘কৈশোর স্বাস্থ্য’ অ্যাপে মিলবে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরামর্শ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম
‘কৈশোর স্বাস্থ্য’ অ্যাপে মিলবে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরামর্শ

দেশের কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য ও সেবা দিতে ‘কৈশোর স্বাস্থ্য’ নামক মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট চালু করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ইউনিসেফ ও সুইডিশ দূতাবাসের সহায়তায় চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য ও সেবা সহজে পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনে অ্যাপের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ সময় তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে। তাদের ক্ষমতায়নে এবং বয়সভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সবকিছু আমাদেরকে করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে বাংলাদেশে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রতিফলন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু তারা তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়। মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে একদিকে যেমন রয়েছে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে কমিউনিটিতে ব্যাপক মাত্রায় প্রচলিত রয়েছে এ নিয়ে নানাবিধ নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার। এছাড়া যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, মেয়ে ও ছেলে উভয়ের জন্যই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও অত্যাবশ্যক সেবা খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, বয়ঃসন্ধিকাল হলো একটি রূপান্তরের সময় যখন কিশোর-কিশোরীরা বিস্তৃত পরিসরে পৃথিবীর মুখোমুখি হয়, মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। এই অ্যাপটি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে, যেসব তথ্য তারা বাবা-মা, বন্ধু এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে সাধারণত লজ্জা পেয়ে থাকে।

তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, পুষ্টি, সহিংসতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও জেন্ডার-ভিত্তিক নির্দেশিকা ও কোর্সের পাশাপাশি কৈশরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে ও কোথায় পাওয়া যায় সে বিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এসবি/কেএস