বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল ‘অবৈধ চিড়িয়াখানা’ বন্ধের দাবি

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল ‘অবৈধ চিড়িয়াখানা’ বন্ধের দাবি
বন্যপ্রাণীর র্টচার সেল `অবৈধ চিড়িয়াখানা‍‍` বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ

বন্যপ্রাণীর র্টচার সেল অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে 'সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ' নামের সংগঠনের আয়োজনে চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে সম্মিলিত আন্দোলন এন্টি জো মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩ ফেব্রয়ারি ২০২৩) সকাল থেকে দিনব্যাপী ঢাকার শাহাবাগ চত্বরে এই কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি। 'এন্টি জ্যু মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ' এর ব্যানারে সারাদেশের প্রাণি কল্যাণে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনও এই কর্মসূচি অংশ নেয়। 

জানা যায়, চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে সম্মিলিত আন্দোলন বন্যপ্রাণীর টর্চার সেল অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে গণচিঠি লিখন কর্মসূচির সঙ্গে বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল খাঁচা বন্দী হয়ে অবস্থান গ্রহন এবং শিকল পড়ে সমাবেশ ও মানবন্ধন, ব্যানার, ফেষ্টুন, প্লেকার্ড, লিফলেট বিতরণ প্রভৃতি।

সারাদেশের অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধ করার এই আন্দোলনের সদস্য সচিব আবুল বাশার মিরাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় গেলে প্রায়ই দেখা যায় কোনো না কোনো প্রাণী অসুস্থ। দেশের কোনো চিড়িয়াখানায় সঠিক ব্যবস্থাপনা নেই। আসলে চিড়িয়াখানায় তাদের রেখে কষ্ট দেওয়ার কোনই মানে হয় না। সারাদেশের সকল অবৈধ চিড়িয়াখনা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’

পরিবেশবাদী সেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ চেয়্যারমান ও এন্টি জো মুভমেন্ট অব বাংলাদেশ আহবায়ক আ.ন.ম. মোয়াজ্জেম হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সারাদেশের অর্ধশতাধিক অবৈধ চিড়িয়াখানার নিষ্ঠুর পরিবেশে বন্দী হাজারো বন্যপ্রাণী তিল তিল করে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

এই নির্দোষ অসহায় বন্যপ্রাণীদের বন্দীত্ব জীবনের অবসান ও নিরাপদ অভয়ারণ্য নিশ্চিত করার দাবিতে সারাদেশ থেকে জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর এক লাখ পোষ্টকার্ড প্রেরণ ও একই দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে পোষ্টকার্ড পূরণ ও গণচিঠি লিখন কর্মসূচি পালিত হয়। চিড়িয়াখানা নিষ্ঠুর পরিবেশে বন্দী সকল পশুপাখির মুক্তি চাই। চিড়িয়াখানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। 

অ্যাডভোকেট ফারহানা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার দখলে রাখা ও খাওয়া, দণ্ডনীয় অপরাধ। দেশে আইন থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না, এগুলো যথাযথভাবে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।’

এনিমেল ওয়েলফারের স্বেচ্ছাসেবক সাজেদা হোসেইন বলেন, 'পশু-পাখির স্থান চিড়িয়াখানা নয়, বিনোদন ও ব্যবসার মাধ্যম হতে পারে না। তাদের উপর অত্যাচার করার অধিকার কারো নেই। সারাদেশের অবৈধ চিড়িয়াখানা বন্ধ করে পশু-পাখিদের উন্মুক্ত বিচরণের জন্য বনে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি মামুন পারভেজ, কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল-আমিন, জামালপুর জেলার সাইদুর রহমান, সদস্য মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ ইউসুফ, আল নাহিয়ান আবির, রবিউল ইসলাম, সানি তালুকদার, শামীম আহমেদ, নাহিদ রায়হান, ঢাকা কলেজ ইউনিটের সমন্বয়ক আবেদ রহমান তূর্য, সেভ দ্যা নেশনের কানিজ আয়েশা, এনিমেল প্লানেট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হাকীম হানী, ভয়েসলেস লাইভস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রুকসাথ হক, সংঘ মিত্রার মিতা দত্ত, বাংলাদেশ এনিমেল রাইটস্ এর মুখ্য কর্মকতা নাঈমুল ইসলাম, মুক্তা প্রিয়াসহ অনেকে।

এআরএস