বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে। আদানির বিদ্যুৎ আসা নিয়ে আর কোন অনিশ্চয়তা নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, কয়লার বাজার মূল্য অনুযায়ী ভারতের আদানির বিদ্যুৎ আসবে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেন ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে বিদ্যুতের পরিস্থিতি ভালো থাকে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সেচ মৌসুম ও গরমের কারণে মার্চে বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আদানির বিদ্যুৎসহ আরও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করছি। যার জন্য গ্যাসও আমরা বৃদ্ধি করছি। গ্যাসের দামটা কিছুটা স্থিতিশীল। আমরা শিল্পে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি, বিদ্যুতেও গ্যাসের পরিমাণ বাড়ানো। যাতে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চসহ বিদ্যুতের অবস্থা যাতে ভালো থাকে।
গণমাধ্যমে এসেছে আদানির বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে হয় এটা খবুই বাজে কথা। আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা নিজেরা দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের টিম গিয়েছিল, সেখানে আমি ছিলাম। তারা বহু আগেই বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলেছিল আমাদের। আমরা যেহেতু ফেব্রুয়ারির শেষে একটা তারিখ নির্ধারণ করেছি, সেদিনই আমাদের সিওডি (কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) হবে। সিওডি হওয়া মানেই আমরা আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ পাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, সেগুলো একটার পর একটা আসা আরম্ভ হবে। আমরা পায়রা তো পাচ্ছি, পুরোটাই পাচ্ছি আমরা। আমরা আশা করছি রামপালও চলে আসবে। আমরা আশা করছি বরিশালের ৩০০ মোগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসবে। আমরা আশা করছি, এসএস পাওয়ার সেটা চলে আসবে।
এবি
এবি