দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চীন থেকে আমদানি করা রেল কোচ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখানে এই কোচগুলো চলাচলের উপযোগী করে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চীন থেকে এই প্রথম রেল কোচ আমদানি করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রের তথ্যানুযায়ী, দেশের রেলবহরে যুক্ত করতে চীন থেকে প্রথমবারের মতো ১০টি কেচ আমদানি করা হয়। এরমধ্যে চারটি শোভন, দুটি এসি স্লিপার, দুটি এসি চেয়ার ও একটি পাওয়ার কার। চীন রেলওয়ের রোলিং স্টক করপোরেশন থেকে ১০০টি কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম চালানের ৪০টির মধ্যে ১০টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এসেছে। এসব কোচ পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কোচের মতো চীনের এসব কোচ লাল-সবুজের রঙে আবৃত করা হয়েছে। কোচের টয়লেট বায়ো টয়লেট সিস্টেম। জানালাগুলো ছোট ছোট। দরজাগুলো ধাক্কা দিয়ে খোলা যাবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, নতুন ব্রডগেজ রেলপথে যাত্রীরা ঝাঁকুনি ছাড়াই ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে যাত্রী ভ্রমণ হবে আরামদায়ক। রেলের ফিনিশড বডি প্রস্তুত হয়েছে চীনে, আর কোচগুলোর কিছু যন্ত্রাংশ এসেছে ইউরোপ থেকে। কোচের বগি এসেছে জার্মানি থেকে। এ ছাড়া হুইল, এয়ার ব্রেক, জেনারেটর এবং বগির ফিটিংসগুলো এসেছে জার্মানি ও রোমানিয়া থেকে।
তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে কারখানায় আনা এসব কোচ এখনও খোলা হয়নি। তবে শিগগিরই খুলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলাচলের উপযোগী করা হবে। এ কাজে রেল কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার পাশাপাশি চীনা বিষেষজ্ঞরাও কাজ করবেন। এ কাজ শেষ হলে রেলের কোচের সমস্যার কিছুটা দূর হবে এমনটি মনে করছেন রেলওয়ের এই কর্মকর্তা। কোচের কিছু অংশ সৈয়দপুর রেল কারখানায় ও বাকিগুলো চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কারখানায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।
কেএস