আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৫৭ কোটি টাকার প্রণোদনা

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম
আউশের উৎপাদন বাড়াতে ৫৭ কোটি টাকার প্রণোদনা

আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৫৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। সারা দেশের ১০ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাচ্ছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে শীঘ্রই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, চলতি বছরের জুন থেকে স্কুল-ফিডিং প্রকল্প চালু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

তিনি জানান,দারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১০ সালে চালু হয়ে জুন ২০২২-এ সমাপ্ত হয়। প্রকল্পটি দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, ঝরে পড়া রোধ, যথাসময়ে শিক্ষাচক্র সমাপ্তকরণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি জানান, চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এবং আগামী সপ্তাহে সহকারী শিক্ষকদের অনলাইনে আন্ত: উপজেলা ও আন্ত: জেলা বদলী শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায়। এ জন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সাথে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এবং গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনা মহামারীর দরুন বন্ধ থাকার পর মার্চের মধ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুবকর সিদ্দিক ও মো.মোশাররফ হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এবি