প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে পার্থক্যটা আমাদের বুঝতে হবে। তাকে যদি নিয়োগ দেওয়া হতো, তাহলে সেটি অবৈধ হতো। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির (রাষ্ট্রপতি) প্রশ্নে অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা অনাকাঙ্ক্ষিত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দুদক আইনে ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। তবে, ওই প্রার্থীকে আমরা (ইসি), প্রধানমন্ত্রী কিংবা প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেননি। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রচলিত প্রথা অনুসরণ করে আইন তাকে নির্বাচিত করেছে।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন একটি রিট মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় সাহাবুদ্দীন আহমেদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পূর্ণ বৈধ বলে রায় দেওয়া হয়েছিল। পদটি অফিস অব প্রফিট হলেও এটা অফিস অব প্রফিট ইন দ্যা সার্ভিস অব দ্যা রিপাবলিক নয়। সেটি বিভাজন করে দেখানো হয়েছে।
সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যেমনি ঠিক, তেমনি একজন অবসরপ্রাপ্ত দুদক কমিশনারও অবৈধ নয়। প্রচলিত আইন-কানুন অনুযায়ী তার (মো. সাহাবুদ্দিন) এই পদে নির্বাচিত হতে কোনো ধরনের অযোগ্যতা নেই। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা অনাবশ্যক বা সমুচিত নয়।
এআরএস