ইউক্রেইন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে থাকার অঙ্গীকার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দশম দফায় একগাদা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীর একদিন পর শনিবার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন টুইটারে বলেছেন, “আমরা এখন এযাবৎকালের সবচেয়ে সূদূরপ্রসারী নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ নিয়েছি- যা রাশিয়ার অস্ত্রাগার হ্রাস করবে এবং অর্থনীতির গভীরে দংশন করবে।”
ইইউ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বরেল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইইউ মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতেই থাকব- আর আমরা এটা ততক্ষণ পর্যন্ত করব যতক্ষণ এটি করা প্রয়োজন, ইউক্রেইন যতক্ষণ পর্যন্ত না রাশিয়ার নির্মম আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়।”
বরেল বলেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে- রাশিয়ার ব্যাংকিং খাত, বেসামরিক এবং সামরিক উদ্দেশে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি খাত।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও আছে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হেলিকপ্টারসহ রাশিয়ার অস্ত্র ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, নির্দিষ্ট আরও কিছু সরঞ্জাম এবং থারমাল ক্যামেরা আছে রপ্তানি নিষিদ্ধ তালিকায়।
তাছাড়া, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এবং শিল্পখাতে সহায়তা করা আরও ৯৬ টি প্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইইউ। আর এবারই প্রথম মস্কোকে ড্রোন সরবরাহ করা ইরানের ৭ টি ড্রোন তৈরির প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় হয় এমন কয়েকটি পণ্য আমদানির ওপর। ইইউ এর সদস্যদেশগুলো শুক্রবার রাশিয়ার ওপর এইসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে সম্মত হয়।