স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে লাগবে স্মার্ট শিক্ষার্থী: শিক্ষামন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে লাগবে স্মার্ট শিক্ষার্থী: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের স্মার্ট শিক্ষা এবং স্মার্ট শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে হবে। আর এই স্মার্ট শিক্ষার্থীরা তথ্য-প্রযুক্তিতে যেমন দক্ষ হবে, তেমনি সৃজনশীলতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অডিটোরিয়াম উদ্বোধন ও নবীনবরণ-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের লাগবে স্মার্ট শিক্ষা। আর তার জন্য লাগবে স্মার্ট শিক্ষার্থী। আর স্মার্ট শিক্ষার্থীর জন্য আমাদের শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে হবে, রূপান্তর করতে হবে। আমরা রূপান্তরের সেই কাজটি শুরু করেছি। এতে যেমন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উচ্ছ্বসিত, ঠিক তেমনি আমাদের সমাজের একটি অংশ এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের প্রুযুক্তির ব্যবহার করতেই হবে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার হতে হবে দায়িত্বশীলতার সাথে। চটকদার কিছু দেখে সঙ্গে সঙ্গে লাইক শেয়ার দিলে হবে না। এক্ষেত্রে আঙুল যেমন দ্রুত চলবে, তেমনি এর সাথে ব্রেনেরও একটা যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে অসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য বা লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন পোস্ট দিয়ে আমরা যেন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অংশীদার না হই বা কোন ধরনের অস্থিরতা বা অস্থিতিশীলতা যাতে তৈরি না হয়। বিষয়টির প্রতি আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ডিজিটাল ফ্রুটপ্রিন্টে, অর্থাৎ ইন্টারনেটে আমি আজ যা কিছু দিচ্ছি, তা কিন্তু থেকে যাচ্ছে। এটাই কিন্তু একদিন ঘুরে আসবে। তাই আমাদের কনটেন্ট, লাইক, শেয়ার যেন আমাদের জন্য সুন্দর হয়। যখন যা শেয়ার করি বা লিখি, তা যেন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে হয়।

ডা. দীপু মনি বলেন, এগিয়ে যেতে হলে বিজ্ঞান যেমন শিখতে হবে তেমনি মানবিক হতে হবে। আমাদের সাহিত্য জানতে হবে, সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রাখতে হবে। আমাদের সমৃদ্ধ অতীত আছে। আমরা গবেষণা করবো, সংস্কৃতির চর্চা করবো। দেহ-মনে সুস্থ্য থাকার জন্য ক্রীড়ার চর্চা করবো। আর এভাবেই আমরা আমাদের সত্যিকারের সু নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবো। ঠিক তেমনি আমাদের বিশ্ব নাগরিক হতে হবে।

আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সিদ্ধেশ্বরী কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, সাবেক সচিব এবং সিদ্ধেশ্বরী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ জুলহাস উদ্দিন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে মনোজ্ঞ পরিবেশনা উপস্থাপনা করেন—ইমরান, পূজা চেরী, শেফালী, ডা. মেহের মলি, ডা. শাইখ সেতু এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এবি