আফতাবনগরে নতুন ই-পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিস চালু হয়েছে। পাসপোর্ট নিয়ে জনভোগান্তি কমাতে রাজধানীর মুগদা, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, রামপুরা, মতিঝিল, পল্টন, বাড্ডা ও হাতিরঝিল এ ৯টি থানার বাসিন্দাদের জন্য এই ই পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে।
রোববার (৭ মে) সকাল ৮টায় প্রাথমিকভাবে আফতাবনগরের এফ ব্লকের ২ নম্বর সেক্টরের চারতলা একটি ভবনে ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পূর্ব’ শাখা অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে এবং ই-পাসপোর্ট সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ অফিস চালু করা হয়েছে। নতুন অফিসের কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই সেবাপ্রত্যাশী ৯ থানার বাসিন্দাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের অতিরিক্ত চাপ কমানো এবং যানজট থেকে মুক্তি দিয়ে সেবা সহজ করতে নগরীতে একাধিক অফিস এবং আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সেন্টার (এপিসি) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ লক্ষ্যেই আফতাবনগরে নতুন দপ্তর চালু করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা পূর্ব।
পাসপোর্ট অফিসের নতুন ভবনটিতে এরই মধ্যে বিভিন্ন ফ্লোরে কাউন্টার, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেস্ক এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বসানো হয়েছে। করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সাজসজ্জা। অফিসে সুপেয় পানি, মাতৃদুগ্ধদান কর্নার ও সেবাপ্রত্যাশীদের বসার সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিদিন নতুন এ পাসপোর্ট অফিসে ৫০০-৬০০ জন সেবা নিতে পারবেন।
এর আগে গত ১ মার্চ থেকে রাজধানীর বসিলায় ঢাকা পশ্চিম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চালু হয়। ওই অফিসে সাভার, ধামরাই, মোহাম্মদপুর, আদাবর, দারুস সালাম, শাহ আলী, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট থানার নাগরিকরা পাসপোর্ট সেবা পাবেন।
আগারগাঁওয়ের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে শেরে বাংলা নগর, মিরপুর, কাফরুল, রূপনগর, গুলশান, বনানী, শাহবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান থানা এলাকার বাসিন্দারা পাসপোর্ট সেবা পাবেন। উত্তরা-পূর্ব, উত্তরা-পশ্চিম, উত্তর খান, দক্ষিণ খান, তুরাগ, বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, আশুলিয়া, পল্লবী, ভাষানটেক থানা এলাকার আবেদনকারীরা উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সেবা পাবেন।
কেরানীগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অধীনে থাকবে শ্যামপুর, কদমতলী, কোতোয়ালি, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ, লালবাগ, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর, বংশাল ও ওয়ারী থানা।
ঢাকা সেনানিবাসের পাসপোর্ট অফিসের সেবা নিতে পারবেন ক্যান্টনমেন্ট থানার অধীনে বসবাসরত নাগরিকরা। সচিবালয়ের পাসপোর্ট অফিসের সেবা নেবেন শুধু সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যরা।
এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (পরিচালক) মো. সাইদুর রহমান বলেন, রাজধানীর ৯টি থানার বাসিন্দাদের সুবিধা দিতে আফতাবনগরে নতুন অফিস চালু করা হয়েছে। এখন আর তাদের যানজট ঠেলে আগারগাঁও আসতে হবে না। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে আশা করছি। ই-পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েই চলছে। সামনে তা আরও বাড়বে। চাহিদা বাড়লে আগামীতে আরও নতুন আঞ্চলিক অফিস করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আফতাবনগরে নতুন অফিস চালু হওয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবার কার্যক্রম ঢাকায় ছড়িয়ে গেলো। জনভোগান্তিও কমলো।
আরএস