ঘুর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রয়োজনে সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। শনিবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রস্তুতির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারের ১৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রাবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়টির এখন আর সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ লক্ষ্য করে কক্সবাজারকে ১০ (দশ) নম্বর, চট্টগ্রাম এবং পায়রাবন্দরকে ৮ (আট) নম্বর এবং মোংলা বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
তবে এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ছয় থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।’ এছড়াও ভোলা ও বরগুনায় ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ কমে এখন ১৫০ থেকে ১৬০ হয়েছে। এখন এটাকে এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়েছে।
আরএস