দাদার আমল থেকেই দেশে মাদক ছিল। সে সময় আফিম, গাঁজা খেয়ে মাদকসেবীরা চোখ লাল করে বসে থাকতো। এরপরে দেশে হেরোইন আসে। হেরোইনের পর ইয়াবা এসেছে। এরপরে এলএসডি ও আইস এসেছে। এই সমস্ত ভয়ঙ্কর মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয়নি। এসব মাদক এসেছে পাশের দেশ থেকে। আমাদের সম্ভাবনাময় দেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এগুলো প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলমপুরে আহছানিয়া মিশনের একটি বিশেষায়িত মাদকাসক্তি ও মানসিক হাসপাতালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, আগে মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিধি ছোট ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এটি বিস্তৃত করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেকটি জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হয়েছে।
এলএসডি-আইস দেশে তৈরি হয়নি, পাশের দেশ থেকে এসেছে
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই লোকই কর্মক্ষম যা পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যুব সমাজ রয়েছে। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। যদি আমাদের যুব সমাজ মাদকের এই ভয়ঙ্কর ছোবলে আটকে যায়, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ হারানোর সম্ভাবনা থেকে যাবে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্ডারে আমাদের বিজিবি রয়েছে। পুলিশ, আনসার, র্যাব সবাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকতে বলেছেন। আমরা সেই জায়গায় থাকতে চাই। এজন্য যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত হোক, যারাই মাদক কারবারি হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫০ শয্যার পাঁচ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাদক নির্ভরশীল ও মানসিক রোগীদের বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
এসময় আহছানিয়া মিশনের সভাপতি কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আরএস