ঢাকার বাইরেও দ্রুত ছড়াচ্ছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের ৬১ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু সুনামগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা এখনও ডেঙ্গুমুক্ত।
এদিকে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১ হাজার ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ৪২৭ জন। এই সময়ে মারা গেছেন সাতজন। শনাক্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
গত ছয় মাসে ঢাকার বাইরে মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৯৯ জন। অথচ চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১১ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৪ জন। গত ছয় মাসে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর জুলাইয়ের প্রথম শেষ ১১ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। বর্তমানে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬০৫ জনই ঢাকার বাইরের।
২০২০ সালে ঢাকার ডেঙ্গু রোগী ছিল ৮৭ শতাংশ ও ঢাকার বাইরে ১৩ শতাংশ। আর চলতি বছরে এরই মধ্যে ঢাকায় ৬৯ শতাংশ ও ঢাকার বাইরে ৩১ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও মশা নিধন অভিযান নেই। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রোগী ব্যবস্থাপনাতেও রয়েছে ঘাটতি। ঢাকায় এরই মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতিও একই দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু দিন পর আক্রান্তের একটি বড় অংশ জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে এবং মৃত্যুও বাড়বে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
এইচআর