ওমানে অনুমতি না নিয়ে সভায় যোগ দেওয়ায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) খাদিজাতুল আনোয়ার সনিসহ ১৭ জন বাংলাদেশি ছাড়া পেয়েছেন। মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তারা মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের জনকূটনৈতিক বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেহেলী সাবরীন বলেন, দূতাবাস থেকে পাওয়া তথ্যমতে সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ মোট ১৭ জনকে আটক করা হয়েছিল। পুলিশি হেফাজত থেকে আমাদের কর্মকর্তারা (মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাস) গিয়ে তাদের মুক্ত করেছেন।
মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে অবস্থানকারী প্রবাসীদের সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে থাকেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি প্রত্যাশা হলো, সফরে গিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলবেন। এ ছাড়া এ ধরনের কার্যকলাপ এড়িয়ে চলবেন। এ ধরনের ঘটনা প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিব্রতকর।
ওমানে বাংলাদেশি এমপিকে কেন আটক করা হলো- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যা জানতে পারলাম তা হলো- ওমানে এ ধরনের কোনো সংলাপ বা কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা নিষেধ। আমরা জানতে পেরেছি, যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি এ সভার আয়োজন করেছিলেন তারা ওমান সরকারের অনুমতি নেননি।
এ সময় সেহেলী সাবরীনার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, এমপি খাদিজাতুল আনোয়ারকে কোর্ট থেকে নাকি পুলিশি হেফাজত থেকে মুক্ত করতে হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে মুচলেকা দিতে হয়েছে কিনা?
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সব কিছুর একটা অফিসিয়াল প্রক্রিয়া রয়েছে। সেখানে দূতাবাস যখন হস্তক্ষেপ করেছে, সেখানে একটি আন্ডারটেকিং পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত করেছে। অনুষ্ঠানটি রাত ১০টায় আয়োজন করা হয়েছিল। পরদিন সকালে দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাদের মুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের (চট্টগ্রাম) সংসদ সদস্য। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি শপথ নেন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর গ্রামের কবির আহমেদ সওদাগর বাড়ির সন্তান সনি ওই এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে।
আরএস