আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই দেশের প্রধান বিরোধী দল আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী দলের নেতাদের ওপর সহিংস হামলার খবরের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কথা বলা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালানোর আগে বিক্ষোভ মূলত শান্তিপূর্ণ ছিল।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ শেষ হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিং বলেন, অ্যামনেস্টি যেসব ভিডিও ও ছবি যাচাই করেছে, তাতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোরভাবে আইন মেনে চলে এবং নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করে। মানুষের আরও শারীরিক ক্ষতি এড়াতে এবং সংকট যেন আরও না বাড়ে, সে কারণেই এটা করা দরকার।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালানোর সময় বেসামরিক নাগরিকদের পুলিশের সঙ্গে যোগ দেওয়া অগ্রহণযোগ্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিক্ষোভকারীদের ওপর অবৈধভাবে বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে। সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, সন্দেহভাজন সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে এবং আইন লঙ্ঘন রোধে ব্যর্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও দ্রুত তদন্ত করা হবে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সহজতর করা এবং রক্ষা করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক এবং ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাবে বিক্ষোভের সময়ের ৫৬টি ছবি এবং ১৮টি ভিডিও পর্যালোচনা করা হয়েছে। সংস্থাটি নয়টি প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যও সংগ্রহ করেছে।
এআরএস