এইচআরএসএস এর ৯ম সম্মেলনে বক্তারা

মানবাধিকারকর্মীরা সবার জন্য সমানভাবে সোচ্চার থাকে না

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম
মানবাধিকারকর্মীরা সবার জন্য সমানভাবে সোচ্চার থাকে না

বর্তমানে মানবাধিকারকর্মীরা সবার জন্য সমানভাবে কথা বলেন না। পত্রিকাতে লেখা দেখা যায়, জামায়াত ও জঙ্গি সন্দেহে অমুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মানবাধিকারকর্মীদের সোচ্চার হতে দেখা যায় না। বড় বড় মানবাধিকারকর্মীরা এই ক্ষেত্রে চুপ থাকেন।

তারা মনে করেন, এদের পক্ষে কথা বললে তাদের মান কমে যাবে। জামায়াত ও জঙ্গীদের কী মানবাধিকার নেই? হিউম্যান রাইটস সাপোর্টস সোসাইটির (এইচআরএসএস) ৯ম মানবাধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলা মোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

No description available.

ড. আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই দানবাধিকার আছে। দানব হলো যার হাতে ক্ষমতা, যে ব্যাংক লুট করে, শেয়ার মার্কেট লুট করে, বিদেশে টাকা পাচার করে। আমাকে আপনাকে ভোট দিতে দেয় না। এই দানবদের সব কিছু করার অধিকার আছে। আইন থাকুক বা না থাকুক। দানবদের অধিকার রক্ষার জন্য কালো আইন তৈরি করা হয়েছে। অথচ পাকিস্তানিদের কালো আইনের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিলো। ১৯৭২ এর সংবিধানে কোন কালো আইন ছিলো না। তবে কয়েক মাসের ব্যবধানে কালো আইন জারি করার বিধান করা হয়। ১৯৭৩ সালে মানুষের অধিকার খর্ব করে জঘন্য সব আইন করা হয়েছে।

এইচআরএসএস এর নির্বাহী ইজাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন এইচআরএসএসের উপদেষ্টা ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) নুর খান লিটন, নারী অধিকারকর্মী শিরিন হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমকাল পত্রিকার উপদেষ্টা আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংষর্ষ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।

No description available.

অনুষ্ঠান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ খান মানবাধিকারকর্মীদের শপথ পড়ান। ভয়হীনভাবে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করার জন্য প্রায় দুইশ মানবাধিকার শপথ নেন।

আবু সাঈদ খান বলেন, সারাদেশে ভয়ের সংস্কৃতি রয়েছে। এই সংস্কৃতি আমাদের গ্রাস করছে। আমরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারি না। আমাদের আইনি ও বেআইনিভাবে আটকে দেয়া হচ্ছে। আদালতও টাকা ওয়ালাদের পক্ষে। পুরনো বতলে নতুন মদের মতো সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে রাষ্ট্র, সরকার ও দল সব একাকার হয়ে গেছে।

এআরএস