কমনওয়েলথ দেশগুলোর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশে ডিজিটাল কমার্সে জোর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বুধবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের সাথে তাল মিলিয়ে কমনওয়েলথ অন্তর্ভূক্ত দেশেগুলোতে ইকমার্স এবং প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। সদস্য দেশগুলো মধ্যে ক্রস-বর্ডার বানিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে কমনওয়েলথ । সেক্ষেত্রে নিরাপদ বানিজ্যে সাইবার সিকিউরিটিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করতে হবে।
বুধবার সকালে ঢাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সম্মেলনের আয়োজন করছে।
সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি: বাণিজ্যে বাধা ব্রেকিং ডাউন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প বিকাশে কমনওয়েলথ দেশগুলোতে এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে আন্ত:দেশীয় বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো।
টিপু মুনশী মনে করেন কমনওয়েলথ সদস্যদেশগুলোর জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার `বিশেষ নীতি` সহায়তা প্রনয়ণ করা উচিত যাতে নিজেদের অর্থনীতিগুলোর বিকাশ করতে পারে।
আলোচনা পর্বে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, ডমিনিকা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিন্স হেন্ডারসন। শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ প্রতিমন্ত্রী দিলুম এস আমুনগামা, ক্যামেরুন সরকারের অর্থমন্ত্রী লুই পল মোতাজে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জি ফাউন্ডেশন সম্মেলনের অংশীদার। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ১৩ জন মন্ত্রীসহ ৩০০ জনের বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সিডাব্লিউআইসি চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড বলেন, বাংলাদেশ কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ নিতে পারে।
মারল্যান্ড বলেন, বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্বে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। কমনওয়েলথের দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাকশিল্প থেকে শিখতে পারে। কমনওয়েলথের মাধ্যমে সকল সম্ভাবনাকে সহযোগিতা করতে চাই। প্রায় দুই দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল কমনওয়েলথ দেশগুলো উন্নত অর্থনীতি এবং উন্নয়নশীল উভয়কে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে।
পরে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য: একটি ইতিবাচক কর্ম পরিবেশ তৈরি’ শীর্ষক আরেকটি অধিবেশন। সেশনে অংশ নেন যুক্তরাজ্যের এমপি পল ব্রিস্টো এবং ইনস্টিটিউট অব অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্ট অ্যালান স্টিভেনস এবং জাই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিল্লুর হোসেন।
কমনওয়েলথ নামে পরিচিত কমনওয়েলথ অফ নেশনস ৫৬ টি সদস্য রাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার বেশিরভাগই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রাক্তন অঞ্চল।